ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ২ বোনকে ধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ২ বোনকে ধর্ষণ কবিরাজ ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। ছবি: বাংলানিউজ

নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে এক ভণ্ড কবিরাজ একই পরিবারের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এলাকাবাসী ওই কবিরাজ ও তার সহযোগীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।

আটকরা হলেন, জেলার লালপুর উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়ার উদ্দিন মোল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নজরুল ফকির (৫০) ও তার সহযোগী একই উপজেলার আব্দুলপুর পশ্চিমপাড়ার আরশেদ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৩৭)।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে প্রতিবন্ধী মেয়ের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কবিরাজ নজরুলকে বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড়ে ফুপুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় টোটকা চিকিৎসা দেওয়ার ফাঁকে কুদৃষ্টি পড়ে ওই প্রতিবন্ধীর মেঝো বোন ডিগ্রি পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রীর ওপর। এরপরই গুপ্তধনের ফাঁদ পাতেন নজরুল।

সেসময় প্রতিবন্ধী ওই মেয়ের পরিবারকে নজরুল জানায়, তাদের ঘরের মেঝেতে মাটির নিচে ২০০ কোটি টাকা মূল্যের গুপ্তধন রয়েছে। ওই সম্পদ শুধুমাত্র নজরুল ফকিরই উদ্ধার করে দিতে পারবেন। এরপর সুযোগ বুঝেই শর্ত আরোপ করেন ওই কবিরাজ। এক পর্যায়ে ডিগ্রি পড়ুয়া সেই মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দিলেই কেবল পেতে পারে ওই গুপ্তধন। এমন আরো কৌশল অবলম্বন করে মেয়েকে নাটক করে বিয়ে করের ওই কবিরাজ।  

এদিকে, বিয়ের মাস দুয়েক পর কবিরাজের কুদৃষ্টি পড়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটির ওপর। শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার নামে কবিরাজের সঙ্গে রাত যাপনে বাধ্য করে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে। সকালে পরিবারের সবাই জানতে পারে ধর্ষণের ঘটনা।

শনিবার সকালে চিকিৎসার নামে আসনে বসার খবর পেয়ে এলাকাবাসী বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এসময় মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন বের করতে বলা হলে কবিরাজ নজরুল নিজেই তার পাতা আসনের সামনে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়তে থাকে। কবর সমান মাটি খুঁড়েও কোন গুপ্তধন না পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটকে রাখেন। জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াসিন আলী পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ নজরুল ফকির ও তার সহযোগী আব্দুস সালামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।