ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দেশের স্বাধীনতা এখনো সুসংহত হয়নি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
‘দেশের স্বাধীনতা এখনো সুসংহত হয়নি’ 'যে মহান বিজয় এখনো সুসংহত হয়নি' শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা

ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখনো সুসংহত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা। তাদের মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুসংহত হলে ২০১৮ সালে এসে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা কখনোই অংশ নিতে পারতো না। 

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত 'যে মহান বিজয় এখনো সুসংহত হয়নি' শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা একথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ডা. এস এ মালেক বলেন, স্বাধীনতা এখনো সুসংহত হয়নি।

তার প্রমাণ এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীপক্ষের শক্তির অংশগ্রহণ। এর প্রথম ও প্রধান কারণ আমাদের অসচেতনতা। যারা দেশের অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সংবিধানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের ভোট দেওয়া সচেতন জনগণের পক্ষে আর সম্ভব নয়।  

‘দেশের ভালো ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে। নির্বাচনের আগে এই ১৮ দিনে আমাদের ১৮ বছর চেয়েও বেশি কাজ করতে হবে নৌকার পক্ষে। ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে তিনি তার আন্তরিকতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। সুতরাং, জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যদি সত্যিই অগ্রসর জাতি-রাষ্ট্রগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে চায় তাহলে বর্তমান বাস্তবতায় তার পক্ষে নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে বেছে নেওয়ার বিকল্প নেই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একটি ভালো কাজ করেছেন। তা হলো, দেশের সব রাজনৈতিক দল সংলাপে এসেছে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তবে তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির পক্ষ নিয়েছেন। এটা ন্যাক্কারজনক।  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা বাঙালি ছিল না। পরবর্তীতে তারাই এদেশে ক্যান্টনমেন্ট কিংবা সামরিককেন্দ্রিক রাজনীতি পরিচালনা করেছে। এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী ক্যান্টনমেন্টে থাকতেন। যেখান থেকে তারা রাজনীতি পরিচালনা করতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই অপরাজনীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন।  

ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. শহীদুল্লাহ, সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।