ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশে কর্মরত ১ কোটি ২৫ লাখ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
বিদেশে কর্মরত ১ কোটি ২৫ লাখ  আলোচনা সভায় বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকার অভিবাসীর মর্যাদা রক্ষা ও নিরাপদ অভিবাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া নিরাপদ ও সুষ্ঠু করতে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন একথা বলেন।  

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কর্মী বিশ্বের ১৬৮টি দেশে কর্মরত রয়েছেন।

বিশ্বের শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আমাদের জনগণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছি। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সব প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।  

মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান গিওরগিও গিগারিও এবং অভিবাসী কর্মীদের পক্ষে লামিয়া আক্তার।  

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রবাসী কর্মীদের সন্তান মেরাজুল হক মেহেদী, আব্দুল্লাহ আমীন ফারহান, সায়রা জাহান সারবীন, তানজীম আহমেদ ও সাজনীন হককে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করেন।  

ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিবাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা অনন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ অভিবাসনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং অভিবাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে সরকার খুবই আন্তরিক।  

তিনি বলেন, শ্রমবাজার গবেষণা করে আমরা এর সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হচ্ছি। বর্তমান সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে দৈনন্দিন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি হচ্ছে।  

বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, মানবপাচার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মানবপাচার রোধ ও অবৈধ অভিবাসন নিরসনে সরকারের সব উদ্যোগের সঙ্গে বায়রা একমত।  

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান গিওরগি গিগারিও বলেন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা প্রতিটি বিশ্ববাসীর নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি অভিবাসী কর্মীর সব ধরনের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাই হোক অভিবাসী দিবসের প্রত্যয়।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

বিকেলে শুরু হয় ‘সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব’ শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।  

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।  

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. নজিবুর রহমান বলেন, আমাদের মানবসম্পদ অত্যন্ত উন্নত মানের। আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ বিশ্বের নানা দেশে দক্ষতা ও সমৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করছে এবং বিশ্বেরর বুকে মাথা উঁচু করে দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখছে।

তিনি আরও বলেন, অধিক লোকের বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা আমাদের একটি সফলতা। আর এই সফলতা ধরে রাখতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
টিআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।