বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য নির্মাতাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন- চলচ্চিত্র, মঞ্চ, টেলিভিশন ও শিল্প সাহিত্যাঙ্গনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল ১১টার দিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় সাইদুল আনাম টুটুলের মরদেহ।
এসময় শহীদ মিনারে নির্মাতার স্ত্রী, দুই মেয়েসহ উপস্থিত হন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, নির্মাতা ও সংগঠক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, কনা রেজা, মোরশেদুল ইসলাম, রাইসুল ইসলাম আসাদ, অঞ্জন জাহিদুর রহিম, জাফর ইকবাল, গাজী রাকায়েত, কামার আহমাদ সাইমন, মসিহউদ্দিন শাকের, তারিক আনাম প্রমুখ।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা শেষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাইদুল আনাম টুটুল ১৯৫০ সালের ১ এপ্রিল পুরনো ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা সরকারি মুসলিম স্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে সাইদুল আনাম টুটুল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
টুটুল একাধারে নির্মাতা ও অভিনেতা ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
টুটুল কাজ করেছেন ছোট ও বড় পর্দায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘কালবেলা’ সিনেমাটি নির্মাণ করছিলেন তিনি। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পরিচালনায় ফিরেছিলেন এ নির্মাতা। এর আগে সরকারি অনুদানে নির্মিত তার প্রথম ছবি ‘আঁধিয়ার’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে।
১৯৭৯ সালে ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রে কাজ করে শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান টুটুল। ‘ঘুড্ডি’, ‘দহন’, ‘দীপু নাম্বার টু’ ও ‘দুখাই’র মতো বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এ নির্মাতা ও সম্পাদক।
গত ১৫ ডিসেম্বর দিনগত রাত ২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাইদুল আনাম টুটুল। ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
ওএফবি/আরবি/