ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২২ ডিসেম্বর গৌরনদী হানাদারমুক্ত দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
২২ ডিসেম্বর গৌরনদী হানাদারমুক্ত দিবস

বরিশাল: একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় ঘোষণার ৫দিন পরে ২২ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয়েছিলো বরিশালের গৌরনদী উপজেলায়। দীর্ঘ ২৮ দিন মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর ২২ ডিসেম্বর গৌরনদী কলেজে অবস্থানরত শতাধিক পাক সেনা মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো।

একাত্তরের ২৫ এপ্রিল পাক সেনারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে এ জনপদে প্রবেশের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের প্রবেশের খবর শুনে মুক্তিযোদ্ধারা গৌরনদীর কটকস্থল (সাউদেরখালপাড়) নামকস্থানে বটগাছের পেছনের অংশে পাক সেনাদের প্রতিহত করার জন্য বাঙ্কার করে অবস্থান নেন।

হানাদাররা সেখানে এলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পরে। সেদিন (২৫ এপ্রিল) পাক সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে প্রথম শহীদ হন গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামের সৈয়দ আবুল হাসেম, চাঁদশীর পরিমল মণ্ডল, গৈলার আলাউদ্দিন ওরফে আলা বক্স ও বাটাজোরের মোক্তার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ওইদিন ৮ জন পাক সেনা নিহত হয়।  

সেই দিনের স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযাদ্ধা আব্দুর রব বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ৮ জন পাকসেনা নিহত হওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই নরপশুদের গুলিতে বহু নিরীহ গ্রামবাসী মারা যায়। হানাদাররা গৌরনদী বন্দরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিলো। মে মাসের প্রথম দিকে পাকবাহিনী গৌরনদী কলেজে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে।  

গৌরনদী কলেজে পাক সেনাদের ক্যাম্পে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথ আক্রমণ চালিয়েছিলো। দীর্ঘ ২৮ দিন যুদ্ধের পর পাক সেনারা পরাস্ত হয়। একপর্যায়ে ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর গৌরনদী কলেজে অবস্থানরত পাক সেনারা মিত্র বাহিনীর মাধ্যমে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে।  

এদিকে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও এখানে কোনো শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ আজও রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।