রোববার (২৩ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানাধীন কানিশাইল খেয়াঘাটের সামনে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এজাহারে মামলার বাদী নগরীর নাইওরপুর মৌবন ১২/১ বাসার বাসিন্দা মো. ফাহিম আহমদ হামীমের অভিযোগ, রাত ৯টায় খেয়াঘাটের সামনে রিকশায় করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বাদী।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত ২০১২ সালের ২২ মার্চ খুন হন। অভিযোগ আছে- দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নগরের উপশহরে খুন করা হয় শওকতকে। আর তাকেই রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় (নং-৩১ (১২) ১৮) আসামি করা হয়।
শওকত ছাড়াও ওই মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হুসাইনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে আছেন চার কাউন্সিলর, তিন আইনজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
তাছাড়াও মামলায় আবুল কাহের শামীম ও বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনীম, আজমল বখত সাদেক, তৌফিকুল হাদীর নাম দুইবার উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন শামীম ও হুমায়ন কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, ১ নম্বর ওয়াড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লরি রহমান উজ্জ্বল, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন।
নিহত ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতকে আসামি করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা এটাকে গায়েবি মামলা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এধরনের আরো অনেক মামলা হয়েছে। এগুলো নতুন কিছু নয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামলাটি পাবলিক বাদী হয়ে করেছেন। আর দীর্ঘ এজাহার খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এনইউ/আরএ