মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির প্রধান সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ এধরনের ৫টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আসামি মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও মধু বাহিনী নামে একটি রাজাকার দল গঠন করে বলে সাক্ষীদের থেকে জানা যায়।
তখন এই আসামি রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পলাতক থাকেন। ১৯৭৬ সালে গ্রামে ফিরে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি হিসেবে আছেন।
গত বছরের ২৩ মে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
ইএস/এমএ