এ জেলার অন্যতম আয় মাধ্যম হলো পাথর উত্তোলন। পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য এই শীতকে উপেক্ষা করে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পাথর শ্রমিকেরা সারাদিন কাজ করে বাংলাদেশ-ভারতকে ভাগ করা হিমালয়ের বরফ গলা মহানন্দা নদীর পানিতে।
শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিক আমিরুল বাংলানিউজকে বলেন, শীত হোক বা গরম পরিবারের কথা ভেবে প্রতিদিনই নদীর ঠাণ্ডা পানিতে যেতে হয় পাথর তুলতে।
আলমগীর হোসেন নামে আরেক শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, অন্য কাজে তেমন চাহিদা না থাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নদীতে পাথর তুলি। সেগুলো বিক্রি করে দিনে আয় ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, গত বছর এই সময় দেশের ইতিহাসের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল তেঁতুলিয়ায়। গত বুধবার (২ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রাতে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে উঠা-নামা করছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এনটি