শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা পর্যন্ত গণধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে পাঁচজন, গণধর্ষণের মূলহোতা চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য রুহুল আমিন ও জড়িত সন্দেহে জসিম উদ্দিনসহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।
** সূবর্ণচরে গণধর্ষণ: আরো এক আসামি গ্রেফতার
** সূবর্ণচরেগণধর্ষণ: গৃহবধূকে দেখতে বামজোটের নেতারা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজকে বলেন, জসিমের অবস্থান জেনে চরজব্বর থানা পুলিশের একটি দল ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান শুরু করে।
জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না। তবে তদন্তে তার নাম আসায় তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে নোয়াখালীতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি হাসান আলী ভুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গণধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত ৯ জনের মধ্যে ৫ জন এবং গণধর্ষণের মূলহোতা রুহুল আমিনসহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিরোধী একটি দলকে ভোট দেওয়ায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধর্ষিতার স্বামী অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত নয় জনকে আসামি করে চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
জিপি