বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে সংবাদ মাধ্যমে তার মৃত্যু সংবাদ প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে কিশোরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জবাসী।
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাতেই শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ভিড় জমান। তার পৈতৃকবাড়ি সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের যশোদল-বীরদামপাড়া গ্রামের মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। স্বজন ও এলাকাবাসী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় আছেন তার নির্বাচনী এলাকা সদর ও হোসেনপুর উপজেলার মানুষসহ পুরো কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
এলাকায় সৎ আদর্শবান ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাড়িতে এলে স্বজন ও এলাকাবাসীর খোঁজ-খবর নিতেন তিনি। তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন এলাকাবাসী।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাকে। অনুপস্থিতিতেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে শুধু দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরাই নন, সাধারণ মানুষও শোকে মুহ্যমান। সবার একটাই কথা, সৈয়দ আশরাফের শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। এ ক্ষতি অপূরণীয়। হয়তো কোনোদিন তা পূরণ হবার নয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বজন সৈয়দ পারভেজ হাসান বাংলানিউজকে জানান, তার চাচা অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যু তারাসহ এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না। এখন তাকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসী।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল বাংলানিউজকে জানান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি খুবই নির্লোভ, সৎ ও আদর্শবান নেতা ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জসহ দেশ একজন ত্যাগী নেতাকে হারালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
আরএ