শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগিদ দেন।
৩৪তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সঞ্চালনা করেন আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজফুজুর রহমান আল-মামুন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন সমিতির সদস্যরা জনগণের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং দরিদ্র, অসহায়, সহায়-সম্বলহীন বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানে ভূমিকা রাখছে জেনে আমি আনন্দিত। আইনগত সহায়তাকে আরও বেগবান করার জন্য আইন সমিতি হটলাইন সার্ভিস চালু করলে অসহায় বিচারপ্রার্থীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করার জন্য রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সমন্বিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। আইনজীবীরা হচ্ছে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আইনজীবীদের রয়েছে অনন্য অবদান।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ বিশেষ মর্যাদা বহন করার কারণ, আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিভাগেরই শিক্ষার্থী ছিলেন। যদিও তিনি এই বিভাগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। সম্প্রতি এই বিভাগই তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে।
তরুণ আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইন পেশা এমন একটি পেশা যাতে সবসময়ই ছাত্র থাকতে হয় ও পড়াশোনা করতে হয়। তবেই একজন ভালো আইনজীবী হওয়া যায়। ।
এসময় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে অধ্যয়নের পরামর্শও দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এসকেবি/এসএ