রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ার হাওর থেকে তাদের আটক করে র্যাব-৯’র একটি দল। এসময় তাদের কাছ থেকে ছয় হাজার সাতশ’ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন, সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামের সুবাস দাশ (৪৯) এবং ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা বিনন্দ নমশূদ্র (৫৯)।
আটক সুবাস পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং তিনি বিয়ানিবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-৯’র সহকারি পরিচালক সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েমের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে হাওরে অন্তত তিন কিলোমিটার ধাওয়া করে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয় হাজার সাতশ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, মুড়িয়া হাওরের ভৌগোলিক অবস্থান চরম প্রতিকূল। যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার সুযোগে হাওড় এলাকাকে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে চোরাচালানিরা। আর পাশেই ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এপার থেকে ধাওয়া করলে ওপারে আর ওপার থেকে ধাওয়া করলে এপারে আসায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং আটক বিনন্দ নমশূদ্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে বিয়ানিবাজার থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এনইউ/এবি