শরিফুল উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হুলাশু জোদ এলাকার নকিবুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার তিরনই হাট বাজারে বিসমিল্লাহ ফার্মেসি নামে এক মেডিসিনের দোকানে সপ্তাহের প্রতি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতেন আইয়ুব আলী নামে এক পল্লী চিকিৎসক।
আখঁলিমা বলেন, ছেলের কানের সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিতে গত ৭দিন আগে চিকিৎসকের কাছে যাই। ওই পল্লী চিকিৎসক ছেলেকে দেখার পর দুই ইনজেকশন সিরিজে পানি দিয়ে কান পরিষ্কার করে কানের জন্য ওষুধ লিখে দেয়। কয়েক দিন ওষুধ খাওয়ার পর থেকে শরিফুল আর কানে শুনতে ও চোখে দেখতে পায় না। আমার সন্তানের চিকিৎসা নেওয়ার আগে পুরোপুরি দৃষ্টি শক্তি ছিল। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার সন্তানটি আজ দৃষ্টিহীন হয়ে গেলো। বর্তমানে শিশুটি দুই চোখে দেখতে পায় না। আমার সন্তানের ভবিষৎ অন্ধকার। আমি তার বিচার চাই।
অভিযোগের ভিত্তিতে মুঠোফোনে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তিরনই বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে রোগী দেখে আসছি। আমার চিকিৎসায় কেউ দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছে আমার জানা নেই।
পল্লী চিকিৎসক আইয়ুব আলী পঞ্চগড় জেলা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি (ডিপ্লোমা ইন প্যারামেডিকেল অপটিক্র ফিজিশিয়ান দিনাজপুর) ই এন টি মাথাব্যাথা ও চক্ষু রোগী দেখেন। চক্ষু, কান ও মাথাব্যাথা চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত বলে জানান এলাকাবাসী।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) কুদরত-ই-খুদা মিলন বাংলানিউজকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচএডি/