শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের জাঙ্গালপাড়া এলাকার মাঠ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আলম পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হলেও কয়েক কিলোমিটার দূরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন আলম। প্রতিদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে সাইকেলযোগে কাহালু উপজেলা সীমানার ভেতর দিয়ে দুপচাঁচিয়া যেতেন। আবার সন্ধ্যার পর কাজ শেষে একই সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরতেন।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারেও (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা তার পথ আটকায় এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।
এরপর আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশের মাধ্যমে তিন হাজার টাকাও পাঠানো হয়। এরপর রাতের কোনো এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করার পর বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে লোকজন আলমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত আলমের বাবা থানায় এসেছেন মামলা দায়ের করার জন্য। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এবং কারা জড়িত সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
কেইউএ/এসএ