ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে দেখা নেই সূর্যের, জনজীবনে স্থবিরতা 

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ফেনীতে দেখা নেই সূর্যের, জনজীবনে স্থবিরতা 

ফেনী: সারা দেশের মতোই শীতের কবলে পর্যুদস্ত ফেনী। কুয়াশার চাদরে মুড়ে আছে শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোডসহ বিভিন্ন এলাকা। শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র ঠাণ্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। শুধু আজ নয়, গত দু’দিন ধরেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ফেনীতে।

 

খুব একটা জরুরি কাজ না থাকলে মানুষ ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষদের।  

সোমবার শহরের খেজুর চত্বরে জড়ো হয়ে থাকা কয়েক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের কারণে কাজ পাচ্ছেন না তারা।  

আফসার উদ্দিন নামের এক শ্রমিক জানান, তিনি কাজের সন্ধান খুলনা থেকে ফেনীতে এসেছেন। কিন্তু গত দু’দিন ধরে বেকার। প্রচণ্ড শীতে থাকারও কোন জায়গা নেই। কোনো রকমে রেলওয়ে ষ্টেশনে রাত পার করতে হচ্ছে।  

এদিকে তীব্র শীতে বেড়ে চলেছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। দেখা দিয়েছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসনালী প্রদাহজনিত সমস্যা, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব।  

ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি।  

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আবু তাহের বলেন, তীব্র শীতের কারণেই হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।  

আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ফেনীর আবহাওয়া অফিসের দারস্থ হলে তারা জানায়, সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও, ফেনীতে তা শুরু হয়েছে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে। সোমবার ফেনীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।  

আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. ইমদাদুল হক জানান, মৃদু এ শৈত্যপ্রবাহ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মাসের শেষের দিকে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষজন শহরের রাজাঝির দিঘীর পাড়সহ বিভিন্ন ফুটপাত ও অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছে।

সোমবার সকালে শহরের রাজাঝির দিঘীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সরগরম শীতকাপড়ের দোকানগুলো। অল্প দামে পোশাক কিনতে ভিড় জমিয়েছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষজন।  

দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের শীত নিবারণে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে শীত বাড়ায় ফেনীর উপকূলীয় অঞ্চল সোনাগাজীসহ বিভিন্ন এলাকায় খেজুর রসের উৎপাদন বেড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০  
এসএইচডি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।