সুমনের বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আরজেদ ভোলার ছেলে।
এতে বলা হয়, ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গত ১৪ জানুয়ারি রাতে নাজমুল নামের এই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাব ও ভাইও আহত হন। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লালপুর সীমান্তের সুলতানপুর মনিহারপুর গ্রামের ভোলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল ইসলাম সুলতানপুর গ্রামের আজিজুর রহমান ওরফে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার বাবাকে সুমনসহ অন্যা আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এর মধ্যে নাজমুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
রাজশাহী র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, আটক সুমন নাজমুলের ভাগ্নিকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সুমন তার লোকজনকে নিয়ে প্রথমে স্কুলছাত্রীর বাবার ওপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে তার ছেলে ও শ্যালক বাঁচাতে এগিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসলে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকেই সুমন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে অবশেষে তাকে আটক করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাঘা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এসএস/এমএ