খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের ৪র্থ তলায় সম্মেলন কক্ষে ওয়েবিনারে শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘জেলহত্যা দিবস: পিছনে ফিরে দেখা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্তসহচর, আপোষহীন নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে কখনই তারা বেঈমানি করেননি। জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল পনেরই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে অনেক বছর পর্যন্ত এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার নাম মুখে নিতে পারতেন না। তাদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল পর্যন্ত করা যেতো না।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।
উপ-উপাচার্য বলেন, মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছিলেন যে মহানায়ক, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আসে ৩ নভেম্বর। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়। ঘটনাগুলো বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসরদের ছকে বাঁধা পরিকল্পনারই একটি অপরিহার্য অংশ ছিল। এ নির্মমতা, নৃশংসতার মধ্যদিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, চেতনা এবং মূলনীতিগুলো পদপিষ্ট হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক সমিতি এবং অফিসার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওয়েবিনারটি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনলাইনে যুক্ত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩ , ২০২০
এমআরএম/জেআইএম