মাগুরা: মণ্ডপ প্রস্তুত। প্রতিমার গায়ে চলছে রং তুলির আঁচড়।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিজয় দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে কাত্যায়ানী পূজা।
আয়োজক কমিটি জানায়, প্রতিবছর কাত্যায়ানী পূজা দেখতে দেশ-বিদেশের মানুষ মাগুরা আসেন। পূজাকে কেন্দ্র এক মাসব্যাপী বসে গ্রামীণ মেলা। তবে এবার করোনা মহামারির কারণে সব আয়োজন হবে সীমিত পরিসরে করা হয়েছে।
ছানাবাবুর বটতলা প্রতিমা শিল্পী উজ্জল অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর একটা প্রতিমার মুজুরি থাকে ৮-১০ লাখ টাকা সেখানে এবার মাত্র দুই লাখ টাকা। তবে এ বছর করোনা মহামারিতে প্রতিমায় করোনা ভাইরাসের আবহে তৈরি করেছি।
সাতদোহা ন্যাংটা বাবার আশ্রমে বৈশাখী ডেকোরেটর ভজন দত্ত জানান, এ বছর ডেকোরেটর শিল্পীও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। অল্প পরিসরে আমারা পূজা প্যান্ডেল সাজিয়েছি।
দরি মাগুরা ছানা বাবুর বটতলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূব সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর কাত্যায়নী পূজায় নেই কোনো উৎসবের আমেজ। যে কারণে আত্মীয় স্বজনদের আসতে নিরুসাহিত করছি।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদ্যু সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর মাগুরা পৌরসভায় ১৬টি, সদর ৩১টি শ্রীপুরে ১৩টি, মহম্মদপুরে ১১টি ও শালিখায় ২৩টি মোট ৯৪টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা হবে।
মাগুরা শহরের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, সাতদোহা ন্যাংটা বাবার আশ্রম, নিজন্দুয়ালী নিতাই গৌর সেবাশ্রম, নতুন বাজার স্মৃতিসহ প্রতিটা প্রতিমায় চলছে রং ও সাজসজ্জার কাজ।
মাগুরা নতুন বাজার স্মৃতি সংঘের কষাধ্যক্ষ প্রকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছর ব্যাপক আয়োজন থাকছে না। কেবল আনুষ্ঠানিতকাতর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। আধুনিক শব্দযন্ত্র ওমেলা বসে এবার তার কিছুই থাকছে না। প্রতি বছর আমাদের কাত্যায়নীয় পূজাকে কেন্দ্র করে ১৫-২০ লাখ টাকার বাজেট থাকে। এ বছর করোনা মহামারির কারণে তা কমে ২-৩ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এনটি