ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষণদিয়ার গাছবাড়ি

এম. রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
লক্ষণদিয়ার গাছবাড়ি

ঝিনাইদহ: দুই তলা বাড়ির পুরোটাই মোড়ানো গাছ দিয়ে, ছাদ বাগানেও গাছ। সামনে বিশাল আঙিনায় মূল্যবান আর দুর্লভ গাছের সমাহার।

কেটে-ছেটে নান্দনিক করে তোলা হয়েছে বনজ, ফলজ ও ফুলের বাগান। যা নজর কেড়েছে সবার। শুধু ফলজ, বনজ, ঔষধি নয় জঙ্গলের গাছও রয়েছে এই বাড়িতে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামে গেলে চোখে গাছ দিয়ে মোড়ানো এ বাড়িটি। যেটি এখন ‘গাছবাড়ি’ হিসেবে পরিচিত।  প্রতিনিয়ত এই গাছবাড়ি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে বৃক্ষপ্রেমী, সৌখিন ও সৌন্দর্য পিপাসুরা।  

জানা যায়, নিজ গ্রামের নারীদের দিয়ে শুচি শিল্পের কাজের জন্য একটি ভবন তৈরি করেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু সেখানে শুচি শিল্পের কাজ সেখানে হয় না। তাই বৃক্ষপ্রেমী আমিরুল সিদ্ধান্ত নেন বাড়িটিতে তৈরি করবেন বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংগ্রহশালা। সেই থেকেই তিনি দেশ-বিদেশ থেকে গাছ পছন্দ করে নিজের সংগ্রহে রাখতেন। এখানে দেশীয় প্রজাতির গাছসহ বেলজিয়াম, পর্তুগাল, মালয়েশিয়া, ভারত, দুবাইসহ একাধিক দেশের গাছ রয়েছে। এখানে রয়েছে রিটা, নাগলিংগম, এ্যামাজিন, কাটগোলাপ, লিলি, ষড়াসহ  হারিয়ে যাওয়া-বিলুপ্ত প্রজাতির প্রায় পাঁচ হাজার গাছ। যা দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতি প্রেমী ও সৌখিন মানুষেরা।

গাছবাড়ি দেখতে আসা বিষয়খালীর বসির আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, লক্ষণদিয়া গ্রামে গাছ দিয়ে মোড়ানো বাড়ি তৈরির গল্প শুনে দেখতে আসলাম। এখানে এসে গাছ দিয়ে মোড়ানো বাড়িটি দেখার পর ভালো লেগেছে। শুধু তাই নয় আমার কাছে মনে হয়েছে এটি একটি বিনোদনের ভালো একটি জায়গা।  

গাছ বাড়ির মালিক আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালে ১৪ বিঘা জমির উপর বাড়িটি নির্মাণ করি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত রোপণ করেছেন ৫০০ প্রজাতির প্রায় ৫ হাজার গাছ। যা নিয়মিত পরিচর্যা করেন ৫ জন শ্রমিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।