খুলনা: মহানগরীর অধিকাংশ সড়কের দিকে তাকালে মনে হবে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) থেকে সড়ক লিজ নিয়েছেন ইট-বালু ব্যবসায়ীরা।
মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে ইট-বালুর অবাধে ব্যবসা চলছে।
অবিলম্বে নগরী থেকে সিমেন্ট কারখানা, ইট-বালু ব্যবসা বন্ধ করে নগরীর বাইরে নিদিষ্ট কিছু স্থান নির্ধারন করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিবৃতি দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম।
বিবৃতি বলা হয়, এ বিষয়ে আগে নিসচার পক্ষ থেকে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের কাছে স্মারকলিপি দিলে তিনি ২ থেকে ৩ দিন এ সব অবৈধ সড়ক দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। কিন্তু এখন আবার আগের অবস্থা। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে এমনভাবে সড়কে ইট-বালুর ব্যবসা আছে কি-না তা আমাদের জানা নেই।
এক সময়ের পরিবেশ বান্ধব খুলনা নগরী আজ বড়ই অসহয়। এক দিকে সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে করুন দশা অন্যদিকে সড়কে ইট-বালুর ব্যবসা, ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে। দেখলে মনে হয় ভোটের আগে জনগন-ভোটের পরে দখলদারের স্বার্থরক্ষা। খুলনা মহানগীর পরিবেশ আজ ভয়াবাহ দূষণের কবলে। সড়ক দখলদার ইট-বালু ব্যবসায়ীদের কারনে পথচারীরা পথ চলতে পারছে না ঠিকমত। ঘটছে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা। দিনের বেলা নগরীতে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকার নিয়ম থাকলেও ইট-বালু ব্যবসায়ীদের ড্রাম ট্রাক বিভিন্ন সড়কে নিয়মিত চলছে। চলছে লবনচরায় অবস্থিত একটি সিমেন্ট কারখানার ট্রাক। এসব দখলদার বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খুলনা নগরবাসী মুক্তি চায়। নগরীর মতিয়াখালী-ক্ষেত্রখালী খালসহ বিভিন্ন খাল ভরাট করে রাস্তা ও ড্রেন করা হয়েছে। সেই রাস্তায় মানুষের যাতায়াত বিঘ্ন করে ইট-বালুর ব্যবসা শুরু করেছে। এসব বাড়িঘর নির্মাণ সামগ্রী রাত ১২টার পরে নগরীর সংশ্লিষ্ট স্থানে পরিবহন করা বাধ্যতামূলক করা হোক। দিনের বেলা, সড়ক দখল করে এবং উন্মুক্তভাবে যেন কোনোভাবেই চলাচল করতে না পারে সে দিকে কেসিসি, পুলিশ ও প্রসাশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/