ঢাকা: সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে আগামী শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে নারী গণসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহ।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পল্টনের মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারী সেলের আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী।
সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সম্পা বসু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সিপিবির নারী সেলের কেন্দ্রীয় সংগঠক লুনা নূর, নারী অধিকার ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমেনা আক্তার, নারী সংহতি কেন্দ্রের সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামলী শীল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, বিদ্যমান আইন, আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া, শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারহীনতা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির একজন পুরুষকে ধর্ষকে পরিণত করে। ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন একটি রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক লড়াই। ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে একইসঙ্গে বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। একইসঙ্গে এই অপরাধের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সারাদেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত, পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী নারীদের ওপর সব ধরনের যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ, সারাদেশে মাদক বন্ধে সরকারিভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ এবং গ্রামীণ সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্যসহ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণরোধে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষী চক্রবর্তী নারী নির্যাতন বন্ধে আগামী (২৭ নভেম্বর) এর নারী গণসমাবেশে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত হয়ে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
আরকেআর/এএটি