ঢাকা: এ বছরের ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমার পূণ্যস্নান। প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে উদযাপিত হবে এই আয়োজন।
নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে রাস পূর্ণিমার পূণ্যস্নান অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় থাকবে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট বিএন খন্দকার মুনিফ তকি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাস-পূর্ণিমা উপলক্ষে শুধুমাত্র পূণ্যার্থী/তীর্থযাত্রীদের অংশগ্রহণে ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩০ নভেম্বর সকালে পূণ্যস্নানের মাধ্যমে রাসপূজা ও পূণ্যস্নান উৎসবের সমাপ্তি হবে।
লেফট্যানেন্ট বিএন খন্দকার মুনিফ তকি জানান, রাস পূর্ণিমায় প্রতি বছরের মতো এবারেও হাজার হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রীদের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা যায়। এ জন্য সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ পূণ্যস্নানে আসা পূণ্যার্থী/তীর্থযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা নজরদারি রাখবে।
এবছর উৎসবের আগে থেকেই দুবলার চরে যাতায়াতের জন্য বন বিভাগের অনুমোদিত ৫টি রুটের সকল নৌযানে কোস্ট গার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে তল্লাশী করবে। এসব নৌযান যেন সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী শিকার এবং অবৈধভাবে গাছ কাটতে না পারে সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোস্ট গার্ডের বিশেষ টহল অব্যাহত থাকবে।
দুবলার চরে আলোরকোল এলাকার প্রবেশ মুখে অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে তল্লাশী করে পূণ্যার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। একই সাথে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা’র তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় একটি ডুবুরি ও একটি মেডিক্যাল দল সার্বাক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় দুবলার চরে কোস্ট গার্ড স্টেশনের নিচতলায় কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর- ০১৫৩৫৮৮৯২০৪ এবং ০১৭৬৯৪৪৪৩৩৩) স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম হাবিব উল আলম জানান, রাস পূর্ণিমা উৎসব উদযাপনে কোস্ট গার্ডের নিজস্ব প্রস্তুতির পাশাপাশি র্যাব, বনবিভাগ, নৌ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
এসজেএ/এইচএমএস