নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে মেরাজ হোসেন মৃধা (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। আটক মেরাজ হোসেন ওই গ্রামের মন্তাজ হোসেন মৃধার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী তার দাদীর সঙ্গে মামুদপুর গ্রামে থাকে। জীবিকার তাগিদে তার মা-বাবা ঢাকায় থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে তার দাদী পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর বাজারে যান। বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বখাটে মেরাজ ঘরের তালা ভেঙে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। প্রতিবেশীরা বোবা কিশোরির চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে যেতেই মেরাজ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরির দাদী ফুলজান বেগম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মেরাজকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেরাজ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ওই কিশোরী অস্প্ট ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য কিশোরীকে এক্সপার্টের কাছে পাঠানো হবে।
গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সঞ্চিতা সরকার বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে প্রতিবন্ধী মেয়েটির ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
এনটি