ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরের আদর্শপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে ৩ সন্তানের জনক আজিজুল হককে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আজিজুলের ছোট ভাই জাহিদুল হক এ হত্যা মামলা (নং ২১) দায়ের করেন।
মামলার দুই আসামি ওই ভবনের ভাড়াটিয়া উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (বিএসসি) কামরুন্নাহার সুমি (৩১) ও তার বাবা নৈকাঠি এলাকার স্বমিলের শ্রমিক উপজেলার পালট গ্রামের শহিদুল বিশ্বাস (৫৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে ঝালকাঠির পূর্ব চাদকাঠি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সন্ধ্যায় ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহত আজিজুল হক ঢাকার এ্যালিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে চাকরি করতেন, তবে সস্প্রতি তা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছিলেন।
রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, স্কুল শিক্ষিকা কামরুন্নাহার সুমি অনেক আগে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানের একটি হাসপাতালে বসে আজিজুল হকের সাথে সুমির পরিচয় হয়ে ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর আজিজুল হকের ঢাকার বাসায় আসা যাওয়া শুরু হয় সুমির। কয়েকদিন ধরে কামরুন্নাহার সুমির অন্যত্র বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।
ঘটনার দিন আজিজুল হক ঢাকা থেকে ঈগল পরিবহনের গাড়িতে এসে ভোর রাতে সুমির বাসায় আসেন।
সেখানে বসে সুমির বিয়ের কথা নিয়ে আলোচনা হলে উভয় পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয় এবং কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
পরে সুমি ও তার পিতা শহিদুল মিলে ২৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টেনে হেচড়ে ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
এমএস/এমএমএস