বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে আমদানিযোগ্য মালামাল পাসপোর্টধারী যাত্রীর মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্য করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই কাস্টমস কর্মকর্তাকে চেকপোস্ট কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র থেকে বদলি করে কাস্টমস হাউজে নেওয়া হয়েছে।
বদলিকৃতরা হলেন- কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন ও আমিনুর রহমান।
জানা যায়, সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিতে এক ধরনের ব্যবসায়ীরা আমদানিযোগ্য বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা কাস্টমসকে ম্যানেজ করে নিয়ে আসেন। এসব যাত্রীরা প্রতিদিন কয়েক মেট্রিকটন ওজনের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে সন্ধ্যায় আবার ফিরে যান। তবে কাস্টমস ঘুষ বাণিজ্য করে এসব পণ্য ছাড়লেও সীমান্তে নিয়েজিত বিজিবি সদস্যরা পণ্যের সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করছে। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে মাঝে মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। এমন কর্মকাণ্ড এড়াতে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন আমদানিযোগ্য কোনো পণ্য পাসপোর্টধারী যাত্রী সঙ্গে বহন করতে পারবেন না। পরে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বদলি করা হয়।
এ ব্যাপারে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, ভারতীয় বেশ কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী ব্যাগেজ সুবিধা ব্যতীত অতিরিক্ত মাল নিয়ে এলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তা জব্দ করে। তবে এ ঘটনায় হঠাৎ করেই বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে কর্মরত দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বদলি করে। তবে এটা স্বাভাবিক বদলি না শাস্তিযোগ্য বদলি সে বিষয়ে সঠিক তথ্য আমার কাছে নেই।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে নিয়োজিত রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
আরএ