ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাস্কর্যবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমনের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
ভাস্কর্যবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমনের আহ্বান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’

ঢাকা: ভাস্কর্যবিরোধী ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কঠোর হস্তে দমন এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সাবেক ছাত্র নেতারা।

রোববার (২৯ নভেম্বর) ৯টি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের ১৬ জন সাবেক ছাত্রনেতা যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ভাস্কর্যবিরোধী ধর্মীয় উস্কানি ও উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেশ কিছুদিন ধরে ভাস্কর্যকে নিয়ে এক ধরনের ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ভাস্কর্য শিল্পকর্ম—এটা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয় বীর, নেতা, শিল্পী, সাহিত্যিক, প্রাণী, ফল, ফুল যে কোনো বিষয়েই নির্মিত হতে পারে। এটা নিয়ে অহেতুক বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সকল ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ঘোষণার মাধ্যমে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘শহীদ মিনার’ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার উসকানি দিচ্ছে এবং বাঙালি রাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অর্জনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সকল শক্তিকে একতাবদ্ধ হয়ে ভাস্কর্যবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের এক চুলও ছাড় না দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বিবৃতি প্রদানকারী ছাত্রনেতারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবু নাসের অনিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্র জোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ খান, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমাদ্দার শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।