ঢাকা: সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি এমন অনলাইনগুলোর বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমরা এর আগে অনেকগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছি।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
গতকাল কিছু অনলাইন নিউজপোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে কিছু নিউজপোর্টালকেও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, আর যারা পাননি তাদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। তারা নিবন্ধন পাবে কি পাবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনরা জানেন আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। সে প্রক্রিয়াটি হচ্ছে সরকারে বিভিন্ন সংস্থার কাছে অনলাইনগুলো থেকে যে তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর যেগুলো রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত সেগুলোর নাম আমরা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছি।
‘অনেকগুলো অনলাইনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তারা যে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। অর্থাৎ দরখাস্ত করার সময় যে তথ্য দিয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। অনেকগুলো অফিসের ঠিকানায় অফিস পাওয়া যায়নি, অবার অফিস বলতে তেমন কিছু নেই, অনেকগুলো ওয়েবসাইটের জন্য যে ডোমেইন দেওয়া হয়েছে সেগুলো চালু থাকে না। তদন্তকারী সংস্থাগুলোর কাছে এ ধরনের অনলাইন সম্পর্কে রিপোর্ট এসেছে, সেগুলো রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। যেগুলো যোগ্য বিবেচিত হয়েছে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে নিবন্ধন দিয়েছি। ’
আরো পড়ুন>>>ভাস্কর্য নিয়ে উস্কানি ছড়ালে সরকার বসে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর অর্থাৎ যারা দরখাস্ত করেছে তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেউ অনলাইন করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এখন যেমন কোনো পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে তাকে প্রথমে পত্রিকার ডিক্লিয়ারেশন নিতে হয়, নামের ছাড়পত্র নিতে হয়। অনলাইনের ক্ষেত্রেও আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর যারা আবেদন করেছে তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
তিনি বলেন, যে কেউ যেখানে খুশি একটি অনলাইন খুলে বসলো, তারপর তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য পরিচালিত হবে বা গুজব ছড়ানোর জন্য পরিচালিত হবে এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করবে- এটিতো হতে দেওয়া যায় না। আবার অনেকে অনলাইন খুলে একজনকে কার্ড ধরিয়ে দেয়, আসলেই এরা সাংবাদিক না। তাদের স্বীকৃত হওয়া সমীচীন নয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০,২০২০
জিসিজি/এএ