সাভার (ঢাকা): বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, নদী বা নদীর কোনো জায়গা দখল করে কিংবা এর শ্রেণি পরিবর্তন করে কোনো প্রকার সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর, কলকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। কেউ যদি নদী দখলের কিংবা নদীর ক্ষতি করার চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা এলাকায় ধলেশ্বরী নদী পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা শিল্প চাই, উন্নয়ন চাই, নদীর সঙ্গে উন্নয়নের কোনো বিরোধ নেই, আমাদের সব কিছুই করতে হবে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রেখে। নদীর সঙ্গে উন্নয়নের বিরোধ যারা তৈরি করছেন, আমি বলবো তাদের সুবিবেচনা নেই বলেই তারা এটা করছেন। কারণ নদীর প্রবাহ পানি সবসময় ব্যবসা বাণিজ্যে, নৌ চলাচলে আমাদের জন্য সাশ্রয়ী। কিন্তু আমরা মাটি, বালু ফেলে নদীকে প্রথমে ডুবোচরে এবং পরে চরে রূপান্তর করি। এটা বন্ধ করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে, নদীর জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়। সুতরাং, নদীর জমি অপরিবর্তনীয়, এটির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। নদীর জমিকে ব্যবসায় ব্যবহার করা যাবে না। নদীর জমি ভরাট করেও বাড়িঘর করা যাবে না, দালানকোঠা করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সেতু করবেন ভালো কথা, এটি জনগণের জন্য, কিন্তু সেতু করে দুই দিকের নদী মেরে রাস্তা করা হয়েছে, এবং তার জন্য নদীর উভয় পাশেই পলি জমে গেছে, যার কারণে অনেকেই সুযোগ পেয়ে নদীর জায়গা দখল করতে শুরু করেছে। এটি করা যাবে না, এটি অপরাধ। এখন এটি যারা করলো, তারাও কিন্তু এই অপরাধে অপরাধী, এই অপরাধের জেল ৭ বছর। তারা সরকারি কর্মচারী হলেও এটা করতে পারবে না। নদীর জমিতে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানও করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা, সিংগাইর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহের নিগার সুলতানা, নদী রক্ষা কমিশনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
আরএ