সাতক্ষীরা: তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় দুই সাংবাদিক ও এক বাসচালক আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ও বাসচালক মো. নজিবুল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সরকারপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত কুমার চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হাশেম আলী সরদার ও সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ এবং অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে আসেন। এরপর তিনি একটি পথসভায় ভাষণ শেষে সাতক্ষীরা থেকে কলারোয়া হয়ে মাগুরা অভিমুখে রওনা হন। কলারোয়া বাজারে পৌঁছানোর পর তার গাড়িবহরে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার সফরসঙ্গী কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে কলারোয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
অপরদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী কলারোয়া থানায় একটি জিডি করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের মামলাটি কয়েক দফা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর পুনরুজ্জীবিত হয়। পুলিশ ফের তদন্ত করে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। চলমান এ মামলায় বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আজ নিয়ে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর জানান, তারা সাতক্ষীরার সরকারপক্ষের উকিলকে সহায়তা করতে ঢাকা থেকে এসেছেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
আরএ