কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইটখোলা কবরস্থান থেকে সাতটি মরদেহ চুরির ঘটনা ঘটছে।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে কোনো এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এদিকে মরদেহ চুরির ঘটনায় ওই কবরস্থানে দাফনকৃতের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও মরদেহ চুরি হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চুরি হয়ে যাওয়া মরদেহগুলো হলো- তারানগর ইউনিয়নের ফজলে করিম, সাহাবুদ্দিন, ফজিলতুন নেসা, আমির, হাজী আ. করিম, সিরাজুল ইসলাম ও রওশন আরা।
স্থানীয় মনির হোসেন জানান, বুধবার রাতে একসঙ্গে সাতটি মরদেহ চুরি হয়েছে। গত এক বছর আগে এ কবরস্থান থেকে আরও দুটি মরদেহ চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা এলাকাবাসী নিজেরাই বসে এ বিষয়ে একটা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এমনটা আবারো হতে পারে।
মো. সাদেক নামে অন্য একজন বলেন, বছর খানেক আগে দুটি মরদেহ কবরস্থান থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তখন ভেবে ছিলাম হয়তো শিয়াল নিয়ে গেছে। কিন্তু এবারের বিষয়টিতে নিশ্চিত হলাম যে মরদেহ কবর থেকে চুরি হয়েছে কোনো পশু পাখি নিয়ে যায়নি।
স্থানীয় সৈয়দ আলী বলেন, আগে মাঝে মাধ্যেই কবর চারপাশে খোড়া দেখতাম। ভাবতাম এ গুলো শিয়ালের কাজ। কিন্তু আজ সকালে কবরের কাছে এসে খোড়া কবরগুলোর আশে পাশে মানুষের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হক বলেন, ঘটনাটা শুনেছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেই। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি তাই ব্যবস্থা কি নিব জানি না। তবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। মরদেহ চুরি হয়ে থাকলে এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এখনই বিষয়টি দেখছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহ চুরি রোধে যা যা করণীয় সবই করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এনটি