কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত দুইজন মাদ্রাসা ছাত্রকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় কড়া পুলিশি পাহারায় তাদের আদালতে তোলা হয়।
কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।
ওই দুই ছাত্র হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)। তারা কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ (রা.) এর হেফজ বিভাগের ছাত্র।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনকে (মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষক) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) রিমান্ড শুনানি শেষে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের পাঁচদিন এবং দুই শিক্ষকের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাদের মধ্যে চারদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের খাস কামরায় মাদ্রাসার দুই শিক্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে দুই ছাত্রকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসার দুই ছাত্রকে ও তাদের সহযোগী দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এসআই