ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ বর্জ্য পাওয়া যায় তা ব্যবহার করে ১৯ মিলিয়ন টন হাইড্রোজেন উৎপাদন করা সম্ভব। যার আর্থিক মূল্য ৫৩ হাজার কোটি টাকা।
সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন করা হচ্ছে। গবেষণাগারের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
প্রকল্পটি ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়েছে। ফলে প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়ছে। হাইড্রোজেন ডিসপেন্সিং ইউনিট, ফুয়েল এনালাইজার, পারসিয়েশন এনালাইজার, ফুয়েল ডেমনেস্ট্রশন ভেহিকেলের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিসিএসআইআর।
প্রকল্পের আওতায় হাইড্রোজেন উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণের বিশ্লেষণীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, দক্ষ জনবল তৈরি করা হবে। হাইড্রোজেন প্রযুক্তি গবেষণার জন্য তিনতলা গবেষণাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদন, পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন, ফুয়েল সেল প্রস্তুতকরণ, প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ এবং জাতীয় পর্যায়ের একটি সেন্টার তৈরি করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও বিসিএসআইআর গবেষণাগারের সিনিয়র প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (চট্টগ্রাম) ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, জাপান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে কাজ শুরু করেছে অনেক আগে। দেরিতে হলেও আমরা এই কাজ শুরু করেছি। এলএনজির বিকল্প হিসেবে যানবাহন, বাসাবাড়ি ও কারখানায় হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা যাবে, উৎপাদন করা যাবে বিদ্যুৎ। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরে আমরা একটা পরিষ্কার ধারণা দিতে পারব। এরপরই বাংলাদেশ হাইড্রোজেন এনার্জি ব্যবহারের স্বপ্ন দেখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এমআইএস/এমজেএফ