জাতীয় স্মৃতিসৌধ (সাভার): বিজয়ের দিনের আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকি মাত্র। এই দিনটির জন্য বাঙ্গালী জাতি ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষের রক্ত দিয়েছিলো।
আর এই রক্ত ও ইজ্জতের কথা এখনো ভোলেনি বাঙালি জাতি। তাই তো বিজয়ের এই দিনটি এলে বাঙালিরা এতো উল্লাস করে। ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে জাতীয় ভাবে বন্ধ থাকে সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দিন ব্যাপি যুদ্ধে শহীদ হওয়া সেই বীরদের স্মরণ করতে ও শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
বিজয় দিবসকে উদযাপন করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন ফুলের গাছ থেকে শুরু করে রঙ বে রঙের আলোক বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক মেরামত, পরিষ্কারসহ নানা কাজের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ পেয়েছে এক অনন্য রুপ।
গত ১৫ দিনের টানা পরিশ্রম শেষে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে স্মৃতিসৌধকে সাজানো পরিপূর্ণ হয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই নানা রঙের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। সেখানে দেখা গেছে আলোকজ্জা দেখতে স্মৃতিসৌধের গেটের সামনে মানুুষ ভিড় করছে।
জানা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা-আরিচার মহাসড়কের হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর পর্যন্ত আলোসজ্জায় আলোকিত করা হয়েছে। এছাড়া নবীনগরের জয় রেস্তরায়, ধামরাই থানা প্রাঙ্গণ ও সাভারের লোক প্রশাসন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
আলোকসজ্জার পাশাপাশি বিভিন্ন সড়ক ও স্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাদা পোশাকের পুলিশ, সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধে রয়েছে নানা ব্যবস্থা।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুলিশ ক্যম্পের ইনর্চাজ হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সারা স্মৃতিসৌধ এলাকাজুড়ে কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গর্ণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্মৃতিসৌধকে নতুন রুপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার্থে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে এবার রাষ্টপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবে তাদের প্রতিনিধিরা। এরপর ২০০ জন করে দল বেঁধে মানুষ প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
কেএআর