ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে যারা জন্মেছেন, তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন। তাদের সচেতনভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে দেওয়া হয়নি।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নকশায় “গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প” হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এটি একনেকে উঠবে বলে আশা রাখি। তাছাড়া চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে সর্বাধুনিক বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যার মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। ’
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিতব্য সদর দপ্তরের বহুতল ভবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখানে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (লাইব্রেরি, উন্নয়ন ও আইসিটি) এ জে এম আব্দু্ল্লাহেল বাকী ও পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব) তপন কুমার বিশ্বাস। এসময় আরও বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. হারুন অর রশীদ, জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রেজাউল আলম ও খন্দকার আক্কাস প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পাঠকক্ষে নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু কর্নার' উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
ডিএন/এসআই