ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অবমাননা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নগর ভবনে মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা এদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অবমাননা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এখন আমরা সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।
আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। একটি কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতাকে লুণ্ঠিত করতে চেয়েছে। সেই চক্র এখনও সক্রিয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আসুন আমরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মানে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প নেই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস আসলে আমদের প্রাণ উচ্ছলতায় ভরে যায়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সব দেশে বিজয় দিবস হয় না। ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এজন্য আমরা বিজয় দিবস পালন করি।
তিনি বলেন, ১৯৫২ ছাড়া স্বাধীনতা সম্ভব না, ১৯৪৯ এ আওয়ামী লীগ যদি গঠিত না হতো, বঙ্গবন্ধু যদি না থাকতো তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৫৪, ১৯৫৬, ১৯৫৮ ছাড়া; ১০ বছর বঙ্গবন্ধুর কারাগারে না থাকা ছাড়া দেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৭৯ এর অভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচনে প্রমানিত হয়েছে এক জাতির এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাবে। আমরা কোনো দুর্নীতি রাখতে চাইনা। সেটা মার্কেট হোক, খাল হোক, প্রশাসন হোক, ট্রেড লাইসেন্স হোক, কর হোক। কোনো জায়গায় আমরা দুর্নীতির লেশ রাখব না। আমরা দখলমুক্ত করব সকল আগ্রাসন থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এসএমএকে/এইচএমএস