ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে (এমসি) প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মৃত লালমোহন দাসের ছেলে সাজন রবি দাস।
মামলার এজহারে বলা হয়, চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার সাজন রবি দাসের বাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতিকারীরা। তখন সাজন রবি দাস, তার স্ত্রী, সন্তানসহ সাত জন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে সাজনের অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠায় চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা করা হয়।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, মির্জা মো. সাইফ, সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (এমসি) না দিয়ে প্রকৃত জখম গোপন করেন। ওই এমসি’র বাতিল করে আদালতে পুণরায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস অসমঞ্জস্যপূর্ণ আরও একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পাঠায়। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রাকেশ চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি শুনানির জন্য অপেক্ষায় আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
কেএআর