রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মানসুর রহমান (৭০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকার দুই যুবককে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে চারঘাটের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মানসুর রহমানের গলাকাটা লাশ নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- দৌলতপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে মোফার ছেলে রোমান হোসেন ওরফে সেতু (২১) এবং একই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ইবনে আকাওয়াদ ওরফে শাওন (২৭)।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে শাওন ও সেতুকে আটক করা হয়। পুলিশের জেরার মুখে তারা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। শীঘ্রই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, মানসুর রহমান বাড়িতে একা থাকতেন। ওই রাতে শাওন ও সেতু তার বাড়িতে চুরি করতে যান। সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে সেতু বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তখন শাওন বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। মানসুর দরজা খুলে বাথরুমের দিকে গেলে সুযোগ বুঝে সেতু তার ঘরে ঢুকে বিছানা, টেবিলের ড্রয়ার ওলট-পালট করে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে থাকেন।
বিষয়টি টের পেয়ে মানসুর রহমান চিৎকার দেন। এ সময় সেতু মানসুরকে জাপটে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সেতু তার হাতে থাকা এনট্রি কার্টার দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এরপর তিনি সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর মানসুর রহমানের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
এসএস/এসএমএকে/এমএমএস