ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় মোহাম্মদ হাসান (৭) নামে আরো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নববধূসহ আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এখনো ছয় শিশুসহ নিখোঁজ রয়েছে সাত জন।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত হাসান নলেরচরের আল আমিন গ্রামের থানারহাট বাজার এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।

এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ যাত্রীরা হচ্ছেন- হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), একই গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা বেগম (১), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।  

কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দু’টি ও ভোলার একটি ডুবুরি দল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপর নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামের বেলাল মিস্ত্রীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন বিয়ে করতে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামে আসে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩টার দিকে ৭০-৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চানন্দি ঘাট থেকে মনপুরার কলাতলী গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচরের মাঝামাঝি এলাকায় তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা বর ও নববধূসহ সবযাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে কূলে উঠে এলেও বেশিরভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়।  

পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বরসহ অন্তত ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত নববধূসহ আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।