ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বিভাগ চত্বরের ফোয়ারাজুড়ে ময়লার স্তূপের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলেই তারা জানান, ১০ মিনিটের মধ্যে সেটি পরিষ্কার করা হবে। সত্যিই হাসপাতালের পাঁচজন কর্মী দিয়ে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ফোয়ারাটি পরিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘আপনার কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পাঁচজন লোক দিয়ে ওই ফোয়ারাটি পরিষ্কার করানো হয়েছে এবং ওয়ার্ড মাস্টারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কোথাও যেন ময়লা জমে না থাকে। ময়লা দেখতে পেলেই যেন পরিষ্কার করানো হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’
>> ঢামেক জরুরি বিভাগ চত্বরের ফোয়ারায় ময়লার স্তূপ
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চত্বরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে এখন ময়লার স্তূপ। হাসপাতালের ভেতর পরিত্যক্ত ফোয়ারায় ময়লার স্তূপ দেখে অনেকেই হতবাক।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক জরুরি বিভাগ বার্ন ইউনিটে ঢোকার মুখেই ময়লায় ভরপুর পরিত্যক্ত ফোয়ারাটি দেখতে পাওয়া যায়। দেখেই বোঝা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। অথচ এ ফোয়ারার সামনে দিয়েই হাসপাতালে রোগী নিয়ে প্রবেশ করেন স্বজনরা।
ফোয়ারার সামনে রোদ পোহানো অবস্থায় এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এখানে যে ময়লা সেটা নিয়ে বলার আর কিছুই নেই, আপনারা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এদিকে একদিকে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে মশার কারখানা। ’
অন্যদিকে, বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার বলেন, ‘তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান স্যারের তত্তাবধানে চারটি ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছিল। এক-দেড় বছর সেগুলো ঠিকই ছিল। এখন সব পরিত্যক্ত। তবে জরুরি বিভাগের একটি ফোয়ারা ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাকি সব পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আলাউদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘১০ মিনিটের মধ্যে ফোয়ারাটা পরিষ্কার করা হবে, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এজেডএস/এফএম