ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে খুলনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে খুলনা

খুলনা: খুলনায় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।

খুলনা বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ রোববারও (২০ ডিসেম্বর) অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকালে খুলনায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। করোনা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে তাদের শীত নিবারণ করছে। এছাড়া গরম কাপড়ের অভাবে স্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম।  

শীতের কারণে মহানগরীর রেলওয়ে মার্কেট (নিক্সন মার্কেট) ফুটপাত ও হকার্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা।

বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতে বোরো বীজতলা, আলু, সবজিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী আরও দুই-একদিন এইরকম ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকবে। এরপর তাপমাত্র বাড়বে আবার কমবে। এখানে জানুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।