ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মচারীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পৌরপরিষদ বাতিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
কর্মচারীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পৌরপরিষদ বাতিল কথা বলছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

ঢাকা: দেশের পৌরসভাগুলোর কর্মচারীদের ১২ মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পরিষদ বাতিল করে আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘স্ট্রেংদেনিং দ্যা আরবান লোকাল গভর্ণমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইনানুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে। দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারেন না উল্লেখ করে, যেসব পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ সময় মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোনভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে হলে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে।

তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সব পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭ , ২০২১
পিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।