ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতি ওয়ার্ডে একটি কমিউনিটি সেন্টার করা হবে: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
প্রতি ওয়ার্ডে একটি কমিউনিটি সেন্টার করা হবে: তাপস

ঢাকা: সব ওয়ার্ডে একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র (কমিউনিটি সেন্টার) নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
 
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ডিএসসিসি এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারকরণ কার্যক্রমের দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

বিকেল ৫টায় ডিএসসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ যেসব ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নেই (কমিউনিটি সেন্টার) সেসব ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা সেসব ওয়ার্ডে নতুন করে পাঁচতলা ভবন করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করবো। সেসব ভবনে একটি ফ্লোরে আমাদের কাউন্সিলর কার্যালয় থাকবে এবং আরেকটি ফ্লোরে ‘নগদ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’ করে দেবো যাতে সব কার্যক্রম এক জায়গা থেকে হয়। যেন মানুষ জানে এই ওয়ার্ডের এটা কার্যালয় এবং সে কার্যালয়ে গেলেই করপোরেশনের সেবা নিশ্চিত হবে।  

পরিবার পরিকল্পনা একটি অবহেলিত খাত ছিল কিন্তু আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি একটি মৌলিক সেবার জায়গা। এটা একটা প্রাথমিক সেবার জায়গা। এই জায়গাটা আগে নিশ্চিত হলে পরে সেবার জায়গাগুলো আমরা নির্ধারণ করতে পারবো, তার উৎকর্ষতা বাড়াতে পারবো, মান বাড়াতে পারবো।  

স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য ডিএসসিসি মেয়র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমি আশাবাদী যে, আগের তুলনায় সম্পৃক্ততা বেড়েছে, সমন্বয় বেড়েছে। বাকি যতটুকু সমন্বয়হীনতা রয়েছে তা দূর করার জন্য আপনি (প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) উদ্যোগ নেবেন। দ্বিমাসিক সভার আগেই প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে প্রতি মাসে একটি সভা হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে মাসিক কতটুকু অগ্রগতি অর্জিত হলো সেটা যেমন জানা যাবে তেমন দ্বিমাসিক এই পর্যালোচনা সভা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসংখ্যার বিস্ফোরণকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সেই আলোকে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, সোনার মানুষ গড়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত পরিবার একটি আবশ্যকীয়ভাবে বিষয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে এই কার্যক্রম বেগবান করার জন্য এরই মধ্যে আমরা মনযোগ দিয়েছি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্ত, কাউন্সিলর এবং যে সব এনজিওর মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় সেসব এনজিওর প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
আরকেআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।