ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শৌচাগার নির্মাণে ‍দুর্নীতির অভিযোগ

একরামুল কবীর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
শৌচাগার নির্মাণে  ‍দুর্নীতির অভিযোগ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শৌচাগার নির্মাণের নামে সরকারের টাকা হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে।  

শৌচাগারের পরিবর্তে নির্মাণ করা হয়েছে প্রস্রাবখানা।

যা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ পুরো নেট দুনিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।  

শনিবার কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা এলাকার পরশ উজির নামে স্থানীয় এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে ওই শৌচাগারটির ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি পোস্টে লিখেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে রাতইল ইটের ভাটায় যাত্রীদের জন্য এ শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে!! এ কাজে এলজিএসপি ৩ প্রকল্পের বরাদ্দ ৬৫,৮৬৭ টাকা। এ শৌচাগারে সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ হতে পারে আর বাকি টাকা কোথায় গেল! তার এ পোস্টে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।  

এ পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে কে বা কারা নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলেছে।  

ওই নামফলকে দেখা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাতইল ইটের ভাটায় যাত্রীদের জন্য শৌচাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৫,৮৬৭ টাকা। ওই প্রকল্পের সভাপতি বানানো হয়েছে রাতইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর সদস্য  মো. অনিচুর জামান মুন্নাকে আর বাস্তবায়ন করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ পিনু। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, শৌচাগারের পরিবর্তে কয়েকশ’ ইট ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে প্রস্রাবখানা।  

৬ নং রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ পিনু জানিয়েছেন, কাজটি ঠিকাদারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ঠিকাদার যখন বিলের জন্য আবেদন করবেন, তখন সিডিউল অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা যাচাই বাছাই করে বিল দেওয়া হবে। এখানে আমার বা আমার পরিষদের কোনো দায় নাই। আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। তারা আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এ কাজটি করেছেন।  

এলজিএসপি প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটর মো. রোকনুজ্জামান জানিয়েছেন, এ রকম একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই প্রকল্পে কি কাজ হওয়ার কথা ছিলে, আর কি কাজ হয়েছে, তা আমার সঠিকভাবে জানা নেই। প্রকল্পটি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।  পরে নামফলকটি সরিয়ে ফেলা হয়

তিনি আরো জানান, ওই প্রকল্পে এখনও কোনো অর্থ ছাড় করা হয়নি।  

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, এসব প্রকল্প ডিজিএলজি থেকে গ্রহণ করা হয়। আমরা শুধু প্রকল্পটি অনুমোদন করি। এটি মনিটারিং বা সুপারভিশনও তারা করেন। যেহেতু প্রকল্পটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাই এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।