ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্ত্রী-দুই মেয়েকে না পেয়ে দিশেহারা অটোরিকশাচালক সুমন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
স্ত্রী-দুই মেয়েকে না পেয়ে দিশেহারা অটোরিকশাচালক সুমন ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি-অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ৩৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও স্ত্রী, দুই সন্তান ও শ্যালকের ছেলেসহ ৪ স্বজনকে এখনও খুঁজে পাননি অটোরিকশা চালক সুমন।

স্বজনদের ছবি নিয়ে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী, পৌর শহরের মিনি পার্ক, থানা, হাসপাতাল চত্বর ও লঞ্চঘাটে ঘুরছেন তিনি।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালক সুমন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনাতে আসেন। এবারও সবাই একসঙ্গে আসার কথা, তবে বাড়িতে নতুন ঘর তৈরি করছি, তাই আমি একটু আগেভাগে বাড়িতে চলে আসি।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে আমার স্ত্রী তাসলিমা বড় মেয়ে সুমাইয়া মিম, ছোট মেয়ে তানিসা, শ্যালক জনির ছেলে জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদকে নিয়ে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠেন। তাদের সঙ্গে আমার দুই চাচাতো ভাই রাশেদ, সজিব ও চাচী নাছিমাও ছিলেন। এদের মধ্যে রাশেদ, সচিব ও চাচীকে খুঁজে পেলেও বাকি চার জনের কোনো সন্ধান পাইনি এখনো। চাচী নাছিমা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি দু'জন ভালো আছেন।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি রাতে যখন আগুন লাগে তখন বাঁচার চেষ্টা সবাই করেছেন। লঞ্চটি প্রথম যেখানে ঘাট দিছিল সেখানে আটকে রাখা গেলে সবাই হয়তো নামতে পারতো। আগুন লাগার পরও দীর্ঘ সময় লঞ্চটিকে চালিয়েছে। লঞ্চটা কোথাও থামানো গেলে সবাই নেমে যেতে পারতো। এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। অন্তত লাশ নদীতে ভাসলে পাওয়া যেত। লঞ্চের স্টাফরা ইচ্ছা করে এটা করেছে। তারা সব ছাই বানাইয়া দিছে।

সুমন বলেন, আবার নদীর তীরে যখন স্বজন খুঁজতে গেছি, তখন মানুষে কইছে কত লোক লঞ্চ দিয়া লাফ দিছে, এহন নদীতে খুঁইজা তাদের পাইনা। কীভাবে তাদের সন্ধান পেতে পারি একটু বলতে পারেন?

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।