হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পারভীন আক্তারকে (৩০) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী। পরকিয়ার ঘটনার জেরে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হলে পারভীনের মাথায় গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন বলে আদালতকে জানান তকদির হোসেন (৩৫)।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। তকদির মঙ্গলবার বিকালেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নাসিরনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মাধবপুর থানা পুলিশ।
পারভীন মাধবপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তকদির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চান্দেরপাড়া গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। প্রায় ৭ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে তকদির তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তাদের সংসারে দুইজন সন্তানের জন্ম হলে পারভীন সৌদিআরবে চলে যান। সেখানে থেকে দেশে অন্য একজনের সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক করেন। এ বছরের মে মাসে তিনি দেশে ফিরেন ও তার পরকিয়ার সম্পর্কটি চালিয়ে যান। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
একইভাবে গত ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে ঝগড়া হলে ঘরে থাকা সিএনজি অটোরিক্সার যন্ত্রাংশ দিয়ে তকদির পারভীনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পর ৭ জুলাই নিহত পারভীনের চাচা বাদী হয়ে তকদিরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। তখন থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে তকদির আত্মগোপনে ছিলেন। মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
আরইউ