হবিগঞ্জ: উন্নয়ন কাজ নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। দু’পক্ষের বিবাদে উন্নয়ন কাজটি বন্ধ হয়ে গেছে।
জনপ্রতিনিধিদের দাবি, উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা অযৌক্তিকভাবে সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, ৯ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় ১০টি পাবলিক টয়লেট, ১৮টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৫ কিলোমিটার প্রাইমারি ড্রেন, ১টি স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ১টি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম, ৩৬টি কমিউনাল বিল ও একটি সলিড ওয়েস্ট শেড। সম্প্রতি পৌরসভার পুরানবাজারে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু করে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান ট্রেডার্স।
কিন্তু নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের অভিযোগ তুলে বুধবার ২৯ ডিসেম্বর কাজে বাধা দেন পৌরসভার কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন মোহনসহ কয়েকজন কাউন্সিলর। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাউন্সিলরদের বিবাদ সৃষ্টি হলে কর্মরতরা কাজ বন্ধ করে চলে যান।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন মোহন খোয়াইকে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী ছাদ ঢালাইয়ের কাজে সাদা বালু অর্থাৎ যে বালুর দাম ৩০৩২ টাকা ফুট সেটি ব্যবহারের কথা। কিন্তু এতে ভোলাগঞ্জের ভিটের বালু ব্যবহার হচ্ছে। এগুলোর দাম ৮১০ টাকা ফুট। এছাড়া রড ব্যবহারেও অনিয়ম করা হয়েছে। তাই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বাধা দানকারীরা অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য কাজের শুরু থেকেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। এতে সরকারি কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। এজন্য আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সময় ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসআইএস