নড়াইল: “এই কম্বল গায়ে দিয়েই শীতের সকালে কাজে বের হবো”। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে হাসি মুখে এ কথা বলেন মহিষখোলা পুরাতন বাজারের বাসিন্দা দিনমজুর দিলু হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে পারি না, এই কম্বল গায়ে দিয়ে ভোরে কাজে বের হবো। এতোদিনে একটা কাজের কাজ হয়েছে। ”
একইভাবে কম্বল পেয়ে খুশি এলাকার দিনমজুর, খেটে খাওয়া শীতার্ত সাধারণ লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ১১টায় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে নড়াইল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে নড়াইল সদরের চার শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছে কালের কণ্ঠের শুভসংঘ। জেলায় মোট এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ নড়াইল জেলা সভাপতি ডা. মশিউর রহমান, সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, নড়াইল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিতোশ কুমার দে, শুভসংঘ নড়াইল জেলার সাধারণ সম্পাদক নাছিমা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়লা সুমন, কালের কণ্ঠে নড়াইল জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন, বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট এম ওমর ফারুক, শুভসংঘের সদস্য গাজী মাফুজুর রহমান ও এসকে সুজয়সহ অনেকে।
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে প্রথমবারের মতো কম্বল পেয়ে খুশি এসব খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, প্রচণ্ড শীতে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের কেউ কিছু দেয় না।
ঢাকা থেকে এসে কম্বল দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান তারা।
কালের কণ্ঠ শুভসংঘ নড়াইল জেলা সভাপতি ও নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এই উপহার নড়াইলের এক হাজার মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। ভবিষ্যতে শুভসংঘের মাধ্যমে মানবিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।
নড়াইল পৌর মেয়র ও শুভসংঘের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের এই মানবিক সহায়তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। দেশের আরো ধনী ব্যবসায়ীরা মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, এটাই আমরা আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসআই