হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া গ্রামে তরূণী জুবা বেগম (১৮) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে খলিল উদ্দিন (২০) নামে এক যুবক। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় দুইজন মিলে তাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। জবানবন্দি প্রদানকারী খলিল উদ্দিন নবীগঞ্জ উপজেলার গ্রামের মিরাশ উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার খলিল ও তার সহযোগী একই গ্রামের মৃত ইরশাদ উল্লার ছেলে গোলাম হোসেনকে (৫০) আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় খলিলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে পিবিআই হবিগঞ্জের পরিদর্শক মোক্তাদির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খলিলের সঙ্গে জুবার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর রাত ১টায় জুবাদের বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে তারা দু’জন শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হন। এ সময় গোলাম হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন ও জুবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান। গোলাম হোসেনের হয়ে খলিলও জুবাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু জুবা রাজি না হওয়ায় গোলাম ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে জুবা বাঁধা দিলে খলিল ও গোলাম মিলে গলায় ওড়না পেছিয়ে ও ব্লেড দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন।
জুবা নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের সুফী মিয়ার মেয়ে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জুবাদের বাড়ির পাশের একটি জমিতে তার মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের দুই হাত সামনের দিকে বাঁধা ছিল। এছাড়া মুখও বাঁধা ছিল ওড়না দিয়ে। মরদেহের পাশে একটি ব্লেড পাওয়া যায়।
>>>আরও পড়ুন: নবীগঞ্জে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় মিললো তরুণীর মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এমএমজেড