প্রেমিকাকে পালিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ফয়সাল নামের এক তরুণ। তাই ছোট ভাই মো. ফরহাদকে পাঠিয়েছিলেন প্রেমিকাকে ‘ভাগিয়ে আনতে’।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার কানন আবাসিক এলাকা থেকে ফরহাদকে আটক করা হয়।
রোববার এসব তথ্য জানান র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ফয়সাল ও ফরহাদ দুই সহোদর ভাই। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগী কিশোরী গত ১২ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফয়সালের কথামতো তার ভাই ফরহাদের সঙ্গে সাগরপথে চট্টগ্রাম চলে আসেন’।
র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফয়সালের কথা ছিল চট্টগ্রাম আসার পর তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু ভুক্তভোগীকে অপহরণের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ফয়সালকে আটক করে। এরপর ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের কাছে অনুরোধ করেন, যেন কিশোরীরে ফিরেয়ে সন্দ্বীপে আনা হয়। কিন্তু ফরহাদ কিশোরীকে নিয়ে যাননি’।
তিনি আরও বলেন, ‘ফরহাদ প্রথমে হাটহাজারী সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা ছলিমপুর ছিন্নমূলের এক কথিত কাজীর সহায়তায় বিয়ে করেন। ’
মো. নূরুল আবছার বলেন, এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি টিকা দিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী ছাত্রী ফেরত না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন, ফরহাদ ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে অপহরণ করেছেন।
ওই ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটকের জন্য চেষ্টা শুরু করে র্যাব। অবশেষে বায়েজিদ এলাকা থেকে ফরহাদকে আটক ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
জেএইচটি