নওগাঁ: নওগাঁয় হিজাব নিয়ে গুজব ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত সেই শিক্ষিকা।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে করা ওই মামলার এজহারে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরইমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি কিউ এম সাঈদ টিটু ও সামসুজ্জামান মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, শুক্রবার সকালে উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে সাংবাদিক কিউ এম সাঈদ টিটুকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লাইব্রেরী পট্টি এলাকার নিজ বাড়ি ও সাংবাদিক সামসুজ্জামান মিলনকে উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের আমোদিনী পালের করা মামলায় এজহার নামীয় আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। টিটু ও মিলন স্থানীয় গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করতেন।
তবে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের সাংবাদিক হিসেবে নয় অপরাধী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস না পরে আসায় শাসন করেন স্কুলটির সহকারী শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। যা পরে হিজাব বিতর্কে রুপ নেয়। একটি চক্র বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষিকা আমোদিনী পাল নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
জেডএ